লাল গমের আটা স্বাস্থ্যকর এবং অত্যন্ত পুষ্টিকর। কারণ এর বাইরের লাল বা বাদামী আবরণে প্রচুর পুষ্টি থাকে। এটি ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ। এটি এক ধরণের খনিজ, যা আমাদের শরীরের প্রায় 300 টি বিভিন্ন এনজাইমের কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও, লাল আটা ফলিক অ্যাসিড, ফসফরাস, জিঙ্ক, তামা এবং ভিটামিন বি 1, বি 2 এবং বি 3 এর একটি ভাল উৎস।
সুস্বাস্থ্যের জন্য লাল আটা
* গবেষণায় দেখা গেছে যে লাল আটার অদ্রবণীয় খাদ্যতালিকাগত ফাইবার রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
* এই আটায় লিগনান নামক এক ধরণের উপাদান থাকে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
* লাল আটার অদ্রবণীয় খাদ্যতালিকাগত ফাইবার ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। কারণ এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
* এটি হৃদয়ের জন্যও উপকারী।
* প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের কারণে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
* লাল আটা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
* কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর করে।
লাল আটা এবং ডায়াবেটিস
লাল আটা দিয়ে তৈরি খাবারের গ্লাইসেমিক সূচকও কম থাকে। গ্লাইসেমিক সূচক হল খাবার খাওয়ার পর রক্তে কত দ্রুত শোষিত হয় তার পরিমাপের একক। বিস্কুট, কেক, পিৎজা ইত্যাদির মতো চিনিযুক্ত খাবার অল্প সময়ের মধ্যেই রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
অন্যদিকে, লাল আটা রক্তে শর্করার মাত্রা খুব কমই বাড়ায়। তাই পুষ্টিবিদরা ডায়াবেটিস রোগীদের লাল আটার রুটি খাওয়ার পরামর্শ দেন।
উচ্চ রক্তচাপ নিরাময়ে লাল আটা
পরিশোধিত আটা শরীরের রক্তচাপ বাড়ায় কারণ এতে শরীরের জন্য উপকারী ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থের অভাব থাকে। ফলস্বরূপ, আমাদের উচ্চ রক্তচাপ হয়। তাই এটি নিয়ন্ত্রণ করতে লাল আটা দিয়ে তৈরি খাবার খেতে হবে।
ত্বকের সুরক্ষার জন্য লাল আটা
অতিরিক্ত পরিশোধিত আটা দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়া ত্বকের জন্য ভালো। ব্রণের সমস্যা কমে। কারণ লাল আটায় উপস্থিত ডায়েটারি ফাইবার শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।
সতর্কীকরণ
* লাল আটায় অক্সালেট থাকে। তাই যাদের পিত্তথলিতে পাথর আছে এবং যারা কিডনি রোগে ভুগছেন তাদের লাল আটা খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত।
অন্যদিকে, লাল আটার প্রতি অনেকের অ্যালার্জি থাকতে পারে।
তাই, যারা সকালের নাস্তায় রুটি পছন্দ করেন, তারা সাদা আটার পরিবর্তে ভুসির সাথে লাল আটা ব্যবহার করে দেখুন।