Garlic Powder -রসুনের বহু গুণাগুন রয়েছে। রসুনে যেসব গুণাগুণ পরিলক্ষিত হয়।
* প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে।
* উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
* অন্ত্রের জন্য ভালো।
* শরীরকে ডি-টক্সিফাই করে।
* রসুন যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, ফুসফুসের কনজেশন, হাপানি, হুপিং কাশি ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
* হজমের সমস্যা মুক্ত করে।
* রসুন কফের জন্য অনেক উপকারি ঔধষ।
* হৃদপিন্ডের সুস্থতায় রসুন অনেক উপকার করে থাকে। রসুন কোলেস্টরল কমাতে খুবই সহায়ক।এই কারনে হার্ট অ্যাটাকের ঝুকি কম থাকে।
* রসুন গিট বাতের রোগে অনেক উপকার করে থাকে। নিয়মিত ২ কোয়া করে খেলে গিটের বাত সেরে যেতে পারে।
* কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে থাকে এই রসুন। গলব্লাডার ক্যানসার হওয়া থেকেও মুক্ত রাখে। মেয়েদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। এমনকি রেক্টাল ক্যানসারের হাত থেকে রক্ষা করে। রসুন প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধে অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। এই রসুন ইস্ট ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়া নিয়মিত রসুন সেবনে শরীরে সব ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়।
* ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুঘটিত রোগ প্রতিরোধে হাজার বছর ধরেই রসুন ব্যবহৃত হয়।
রান্নায় ব্যবহার ছাড়াও রসুনে অনেক রকমের ঔষোধীয় গুনাগুন আছে। প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রসুনের ব্যবহার চলে এসেছে।
আজকে জেনে নেবো রসুনের গুণাগুণ:
১) রসুনের মধ্যে Allicina নামের এক কম্পাউন্ড পাওয়া যায় যা বিভিন্ন রোগ সারাতে সাহায্য করে। প্রাচীন ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে জানতে পারবেন তখন রসুন কিন্তু শুধু মাত্র বিভিন্ন অসুখ সারানোর জন্যই ব্যবহার হতো। মিশরীয়‚ ব্যাবিলনীয়‚ গ্রিক‚ রোমান এবং চৈনিক সভ্যতায় ওষুধ হিসেবে রসুনের ব্যবহারের নিদর্শন পাওয়া গেছে।
২) রসুন খুব নিউট্রিসাস‚ কিন্তু এতে খুব কম ক্যালোরি আছে :
আউন্স বা ২৮ গ্রাম রসুনের মধ্যে রয়েছে :
মান্গানেসে : 23% of the RDA.
ভিটামিন B6: 17% of the RDA.
ভিটামিন C: 15% of the RDA.
সেলেনিউম্ : 6% of the RDA.
ফাইবার : 1 gram.
এছাড়াও রসুনের মধ্যে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম‚ কপার‚ পটাশিয়াম‚ ফসফরাস‚ আয়রন এবং ভিটামিনB1।
শুধু তাই নয় রসুনের মধ্যে আমাদের শরীরে যা দরকার মোটামুটি সবই পাওয়া যায়।
সারমর্ম হলো রসুনের মধ্যে খুব কম ক্যালরি আছে কিন্তু ভিটামিন C‚ ভিটামিন B6 এবং ম্যাঙ্গানিজ আছে। এছাড়াও এতে বিভিন্ন ধরনের নিউট্রিয়েন্টস আছে যা আমাদের শরীরের জন্য খুব দরকার।
৩) রসুনের সাপ্লিমেন্ট বা কাঁচা রসুন খেলে ফ্লু এবং কমন কোল্ড তাড়াতাড়ি সেরে যায়। এর কারণ রসুন খেলে ইমিউন সিস্টেমের কার্যক্ষমতা অনেকটা বেড়ে যায়।
৪) রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে: কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ যেমন হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক এর কারণে সারা পৃথিবীতে সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়। উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন হৃদ রোগের মুখ্য কারণ। কিন্তু দেখা গেছে রোজ চার কোয়া করে রসুন খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৫) শরীরে কোলেস্টেরল লেভেল ঠিক রাখে : নিয়মিত রসুন খেলে শরীরে Bad Cholesterol কমে যায় এবং Good Cholesterol এর বৃদ্ধি হয়।
৬) রসুনে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ‘সেল ড্যামেজ এবং ‘এজিং‘ রোধ করে। এর ফলে অ্যালঝাইমারস ডিসিজ এবং ডিমেনশিয়ার মতো রোগের হাত থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়।
৭) বেশিদিন জীবিত থাকতে সাহায্য করে : যেহেতু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে তাই ক্রনিক ডিসিজ কম হয়। ফলে আপনার দীর্ঘজীবি হওয়ার সম্ভবনা অনেকেটা বেড়ে যায়।
৮) শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে : রসুনে উপস্থিত সালফার অরগ্যান ড্যামেজ থেকে এবং শরীরকে lead থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
৯) হাড়ের জোর বাড়ায় : এমনিতেই একটা বয়েসের পর মহিলাদের হাড়ের জোর কমে যায় । দেখা গেছে রোজ ২ গ্রাম করে রসুন খেলে মহিলাদের শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে হাড় সংক্রান্ত সমস্যা অনেকটা কমে যায়। এমন কী যে মহিলাদের মেনোপোজ হয়ে গেছে তারাও নিয়মিত রসুন খেলে অনেক উপকার পাবেন।
১০) দ্রুত স্কিন ইনফেকশন সারিয়ে তোলে : যেহেতু রসুনে অ্যান্টি ভাইরাল এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল প্রপার্টি আছে তাই স্কিন ইনফেকশন এর চিকিৎসায় কাজে লাগে।